স্বদেশ ডেক্স: পাকিস্তানের টেলিভিশনে লাইভ টক শো চলাকালীন সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় ক্ষমতাসীন ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে দেশটি সংবাদমাধ্যম। আজ বুধবার থেকে আগামী তিনদিন পর্যন্ত করাচি ও লাহোর প্রেসক্লাবে পিটিআই এর সকল নেতাদের প্রবেশাধিকার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার করাচি প্রেসক্লাবে (কেপিসি) আয়োজিত এক জরুরি মিটিংয়ে সরকারের কর্মকর্তারা এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কালো ব্যাজ ধারণ করেন।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আগামী তিনদিনের মধ্যে পিটিআই নেতা সিয়ালের সদস্যপদ বাতিলসহ নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক ফারহানের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হবে। অন্যথায়, আরও বড় ধরনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় ইমরান খানের পিটিআই দলের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
পাকিস্তানের একটি নিউজ চ্যানেল তাদের নিয়মিত লাইভ শো ‘নিউজ লাইন উইথ আফতাব মুঘেরি’তে আলোচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল পিটিআই নেতা মাসরুর আলি সিয়াল ও করাচি প্রেস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ইমতিয়াজ খানকে। আলোচনার মধ্যে হঠাৎই সিয়াল পাশেই বসা সাংবাদিক ইমতিয়াজকে আঙুল তুলে শাসানির ভঙ্গিতে বলছেন, ‘আমি এই জিনিস কখনো বরদাস্ত করি না।’
উত্তরে প্রেস ক্লাবের প্রেসিডেন্টও চিৎকার করে কিছু একটা বলেন। সঙ্গে সঙ্গে পিটিআই নেতা চেয়ার ছেড়ে চড়াও হন প্রতিপক্ষের ওপর। ইমতিয়াজ খানকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়।
এরপর মুহূর্তেই ইমতিয়াজ উঠে মাসরুর আলি সিয়ালকে জাপটে ধরে। এর পরেই শুরু হয় মারামারি। তবে জাপটে ধরে পর্যন্ত ক্যামেরায় ধরা পড়ে কিন্তু মূল মারামারি হয় ক্যামেরার ফোকাসের বাইরে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মারামারির ভিডিওটি মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইমরান খানের রাজনৈতিক বিষয়ক বিশেষ সহকারী নাইমুল হক টুইটে বলেন, ‘টিভি অনুষ্ঠানের সময় সাংবাদিক ইমতিয়াজ খান ফারহানের ওপর পিটিআই নেতা মনসুর সিয়ালের সহিংস প্রতিক্রিয়ার নিন্দা জানাই। পিটিআই’তে এ ধরনের ব্যবহার অগ্রহণযোগ্য। তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’